নড়াইলের লোহাগড়ায় স্বামীর সহযোগিতায় এক কথা প্রতিবন্ধী নববধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই নববধূ শালবরাত গ্রামের বিল্লাল শেখের মেয়ে, (কথাপ্রতিবন্ধী) মেয়ের বিবাহের পরের দিন ওই স্বামী রফিকুল ইসলামর স্ত্রী ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ তার স্ত্রীর।

লোহাগড়ার চোরখালী গ্রামের রঙ্গূ শিকদারের ছেলে রফিকুল ইসলামের সাথে গত ২৫ জুলাই রবিবার ২০২১ তারিখে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের শালবরাত গ্রামের বিল্লাল শেখের কথা প্রতিবন্ধী মেয়ে কে বিবাহ হয়। এরপরে নিজ বাড়ি চোর খালী গ্রামে নিয়ে যায়।

কিন্তু মেয়েটির ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস,তার স্বামী রফিকুল ইসলাম স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্কে অক্ষম বলে জানান তার স্ত্রী। এবং ২৭ জুলাই ২০২১ তারিখ পর্যন্ত তার স্ত্রীর সাথে কোন প্রকার শারীরিক সম্পর্ক হয় নাই বলে জানান রফিকুলের স্ত্রী।

অবশেষে জয়পুরের ঘোফাডাংগা গ্রামের সরো মোল্লার ছেলে হোসেন মোল্লা (২৬) রফিকুলের সম্পর্কে মামাতো ভাই হোসেন মোল্লা কে তার স্ত্রীর স্বয়ং কক্ষে ঢুকিয়ে দিয়ে বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় , এবং ওই কথা প্রতিবন্ধী নববধু কে হোসেন মোল্লা ধর্ষণ করে ।

একই দিনে ওই নববধু কে ২বার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ রফিকুলের স্ত্রীর। ওই প্রতিবন্ধী নববধুর মা বলেন আমার মেয়েকে যে এমন সর্বনাশ করেছে তার কঠিন বিচার চাই। এদিকে রফিকুলের সাথে এই বিষয়ে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি দোকানে গিয়েছিলাম বাড়িতে আসলে আমার বউ আমাকে বলেছে যে পাশের বাড়ির ইতি ভাবির সহযোগিতায় হোসেন তাকে ধর্ষণ করেছে।

এসময় রফিকুল আরো বলেন আমি হোসেন কে ঘটনার কথা বললে সে মাফ চেয়েছে আমার কাছে। এইনিয়ে হোসেনের বাড়িতে সাংবাদিকরা কথা বলতে গেলে হোসেন কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

এই ঘটনায় মেয়ের মা বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় ৩ আগস্ট মঙ্গলবারে তিনজনকে আসামি করে লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ আবু হেনা মিলন, জানান লিখিত অভিযোগ পেয়েছি আইনগত তদন্ত চলছে আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।